মহাকাশে বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখন্ড অবস্থান করে, এদের গ্রহানু বলে। অজস্র গ্রহানু একত্রে অবস্থান করলে তাদের গ্রহাণুপুঞ্জ বলে।
চিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী টি. সি. চেম্বারলিন (T. C. Chamberlain) এবং এফ. আর. মুলটন (F. R. Multon) 1904 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহের উৎপত্তি সংক্রান্ত একটি তত্ত্ব প্রদান করেন যা গ্রহানুতত্ত্ব নামে পরিচিত।
মতবাদের মূল কথা
১. সৌরজগত সৃষ্টির পূর্বে সেখানে একটি জ্বলন্ত বাষ্পীয় পিণ্ড (সূর্য) ছিল।
২. এই জ্বলন্ত বাষ্পীয় পিন্ডের বাইরের অংশে মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ ঘটতো।
৩. একসময় বিশাল আকৃতির এক শক্তিশালী নক্ষত্র জ্বলন্ত বাষ্পীয় পিন্ডের বা সূর্যের কাছে চলে আসে।
৪. আগন্তুক নক্ষত্রের বিপুল মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে এবং সূর্যের কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে সূর্য থেকে কিছু অংশ ছিটকে বেরিয়ে যায়। বেরিয়ে যাওয়া বাষ্পীয় পদার্থগুলি আগন্তুক নক্ষত্রে মিলিত হওয়ার আগে নক্ষত্রটি বহুদূর চলে যায়।
৫. বিচ্ছিন্ন বাষ্পীয় পদার্থ জমাটবদ্ধ হয়ে গ্রহকণিকার (Planetesimal) সৃষ্টি করে।
৬. আগন্তুক নক্ষত্রটি বহুদূর চলে যাওয়ায় গ্রহ কণাগুলি সূর্যের অভিকর্ষ এলাকার মধ্যে অবস্থান করে এবং সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকে।
৭. গ্রহ কণিকাগুলি পরস্পরিক আকর্ষণে জমাটবদ্ধ হয়ে গ্রহের সৃষ্টি করে ছোট কণাগুলি জমাটবদ্ধ হয়ে উপগ্রহের সৃষ্টি করে।
সমালোচনা
১.গ্রহ, উপগ্রহ জন্মের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
২. গ্রহগুলির আয়তন অনুযায়ী বিন্যাসের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
৩. পরিক্রমণ গতির ধারণা পাওয়া গেলেও আবর্তন গতির ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
৪. কৌণিক ভরবেগের বন্টনের সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন