মৃত্তিকা বিজ্ঞানী জেনি 1958 সালে বলেন যে, প্রতিটি এককের মাটি হল একটি ত্রিমাত্রিক একক। একটি ছোট মাটির লম্বালম্বি ফালিকে মাটির একক বলা যায়। যাদের তিনি নাম দিয়েছেন Tessera। গাছপালার শীর্ষদেশ থেকে মাটির তলদেশ পর্যন্ত উলম্বভাবে এই এককগুলি বিস্তৃত।
পেড(Ped)
মাটির প্রাথমিক কণাগুলি (যেমন- পলি, বালি, কাদা) যখন সমষ্টিতে (aggregate) পরিণত হয় তখন তাকে পেড বলা হয়।
মাটির সূক্ষ্ম কণা বিশেষ করে কাদাকনা ও হিউমাস মাটির বিভিন্ন কণাগুলিকে প্রাকৃতিক উপায়ে সঙ্ঘবদ্ধ করে এবং মাটির গঠন সৃষ্টি করে। পেড হল মাটি গঠনের একটি একক। যেমন- প্রিজমের মতো, চাঁইয়ের মত, দানাবদ্ধ, পাত সদৃশ।
পেডন (Pedon)
প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার দ্বারা সৃষ্ট পৃথক সত্তাবিশিষ্ট ত্রিমাত্রিক(three dimensional) মাটির গঠনের একটি একককে পেডন বলে। যেমন- একটি সংবদ্ধ, ক্রাম্বি, প্রিজমাকার বা স্তম্ভ আকার গঠনের একক।
বৈশিষ্ট্য
- পেডনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং গভীরতা আছে।
- এককগুলির বিস্তার 1 থেকে 10 বর্গমিটার আয়তনের হয়।
- আকৃতির দিক থেকে এগুলি গোলাকার বা প্রিজম আকার।
- পেডনকে দেখতে অনেকটা স্তম্ভের মত।
- সাধারণত নিচের দিকে গাছের শিকড়ের গভীরতা পর্যন্ত অথবা মাটির হরাইজন গুলির নিচের সীমা পর্যন্ত পেডন বিস্তৃত।
- পেডনের প্রস্থচ্ছেদ বহুতল বিশিষ্ট হয়।
পলিপেডন(Polypedon)
অনেকগুলি মাটির পেডন একসাথে দলবদ্ধ ভাবে অবস্থান করলে তাদের পলিপেডন বলে।
বৈশিষ্ট্য
- পলিপেডন গুলি আয়তনে বেশ বড় হয়।
- আয়তনের দিক থেকে এককটির কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই।
- পলিপেডন মানচিত্রায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- এক একটি পলিপেডনে মাটির কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য দেখা যায়।
- এটি একটি মৃত্তিকা শ্রেণীবিভাগের একক।
এপিপেডন(Epipedon)
ভূপৃষ্ঠ থেকে পরিলেখের প্রথম স্তরটির ত্রিমাত্রিক রূপকে এপিপেডন (পেডনের ত্বক) বলে।
বৈশিষ্ট্য
- জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ থাকায় এপিপেডন কালো রঙের হয়।
- এপিপেডন মৃত্তিকার খুব উর্বর অংশ।
- এপিপেডনের অনুভূমিক বিস্তার 1 থেকে 10 বর্গমিটার।
- এর গভীরতা খুবই কম।
- কৃষি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এপিপেডনের ধারণা থাকা প্রয়োজন।