Type Here to Get Search Results !

ডোলাইন বা ডোলিন, উভালা, পোলিয়ে বা পোলজে বা পোলজি।

 ডোলাইন বা ডোলিন (Dolines)

         কাস্ট অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠের দুর্বল স্থানে দ্রবনজনিত ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট আবদ্ধ গর্তকে ডোলিন বা ডোলাইন বলে। ডোলাইন একটি সার্ভ ভাষার শব্দ 'dolina' থেকে এসেছে। যার অর্থ  'ভূ-দৃশ্যের মধ্যে এক অবনমন'

       বৈশিষ্ট্যঃ

           ১. ডোলাইনের আকৃতি ফানেল আকৃতির হয়।

           ২. যে সকল ডোলাইন ধ্বসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় সেগুলি খাড়া পাড় যুক্ত হয়।

          ৩. এর ব্যাস কয়েক মিটার থেকে 1000 মিটার হয় এবং গভীরতা 2 থেকে 100 মিটার পর্যন্ত হয়।


       উদাহরণঃ

           আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা প্রদেশে অসংখ্য ডোলাইন দেখা যায়। যুগোস্লাভিয়ার অ্যাড্রিয়াটিক উপসাগরের তীরে অসংখ্য ডোলাইন দেখা যায়।


     শ্রেণীবিভাগঃ 

              ডোলাইন বা ডোলিনকে আকৃতি এবং উৎপত্তি অনুসারে শ্রেণীবিভাগ করা যায়-

]

    আকৃতি অনুসারে শ্রেণীবিভাগঃ

        ১. বাটি আকৃতিরঃ এইসকল দুলাইনের ব্যাস এবং গভীরতার অনুপাত 10: 1 হয়।

        ২. ফাঁদল আকৃতিরঃ এই সকল ডোলাইনের ব্যাস এবং গভীরতার অনুপাত 2 : 1 থেকে 3: 1 পর্যন্ত হয়।

       ৩. বেলন বা চোঙ আকৃতিরঃ এই সকল ডোলাইনের গভীরতা ব্যাসের তুলনায় বেশি হয়।


     উৎপত্তি অনুসারে শ্রেণীবিভাগঃ

       ১. দ্রবন ডোলাইনঃ

             ফাটল বা দারন যুক্ত অঞ্চলে দ্রবন জনিত ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে যে ডোলাইন গড়ে ওঠে তাকে দ্রবণ ডোলাইন বলে। এই সকল ডোলাইন গুলির ঢাল 30° থকে 40° হয়।

       ২. ধ্বস ডোলাইনঃ

              চুনাপাথর অঞ্চলে দ্রবন কার্যের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের নিচে গুহার সৃষ্টি হয়। এই গুহার ছাদ ধ্বসে গিয়ে যে ডোলাইন গড়ে ওঠে তাকে ধ্বস ডোলাইন বলে। এইসকল ডোলাইনের দেওয়াল খাড়া হয় এবং আকার উপবৃত্তাকার হয়।

       ৩. অবনমিত ডোলাইনঃ 

              ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অদ্রাব্য শিলাস্তর বসে গিয়ে অবনমিত ডোলাইন গঠন করে।

       ৪. দ্রবন-পাইপ ডোলাইনঃ

              চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলে উলম্ব দারুন বা ফাটল থাকলে দ্রবন কার্যের মাধ্যমে যে পাইপের বা নলের মত গর্ত তৈরি হয় তাকে দ্রবন পাইপ ডোলাইন বলে।

        ৫. ককপিট ডোলাইনঃ

              যেসকল অঞ্চলে অধিক সংখ্যায় হামস থাকে সেখানে দ্রবন কার্যের মাধ্যমে ককপিট ডোলাইন গড়ে ওঠে।



উভালা (Uvala) 

 

       একাধিক সিঙ্কহোল বা ডোলাইন পরস্পর মিলিত হয়ে যে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি করে তাকে উভালা বলে।

    উৎপত্তির কারণঃ

           বিভিন্নভাবে সৃষ্টি হতে পারে। 

                ১. একাধিক জোনাইল দ্রবন কার্যের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়।

                ২. ভূ-অভ্যন্তরের বৃহৎ গুহার ছাদ ধ্বসে গিয়ে সৃষ্টি হয়।

                ৩. একাধিক সিঙ্কহোল পরস্পর মিলিত হয়ে সৃষ্টি হয়।


     বৈশিষ্ট্যঃ

          ১. উভালার আয়তন কয়েক হেক্টর পর্যন্ত হতে পারে।

         ২. ছোট আকৃতির উভালাকে james বলে।

         ৩. উভালার মধ্যে ভূপৃষ্ঠের জলধারা প্রবেশ করে।

         ৪. একাধিক সিঙ্কহোল পরস্পর যুক্ত হয়ে উভালা গঠন করে বলে একে অনেক সময়ক যৌগিক সিঙ্কহোল বলে।



পোলিয়ে বা পোলজে বা পোলজি (Polje)

          পোলজে একটি স্লোভেনিয়ান শব্দ যার অর্থ 'ময়দান' বা 'field'। 

          উভালার থেকে আকারে বড় আবদ্ধ গর্তকে পোলিয়ে বা পোলজে বা পোলজি বলে।


     বৈশিষ্ট্যঃ

       ১. পোলজের তলদেশ সমতল এবং পলিযুক্ত হয়।

       ২. চারিদিক খাড়া প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ থাকে।

       ৩. পোলজের মেঝেতে শঙ্কু আকৃতির যে পাহাড় দেখা যায় তাকে হামস বলে।

      ৪. এদের আয়তন প্রায় 250 বর্গকিলোমিটার হয়।

      ৫. পোলজেতে কেন্দ্রমুখী জলনির্গম প্রণালী গড়ে উঠতে দেখা যায়।


    উদাহরণঃ

            যুগোস্লাভিয়ার লিভেনো পোলজির দৈর্ঘ্য 65 কিলোমিটার এবং প্রস্থ 5 থেকে 11 কিলোমিটার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area