তটভূমি (Shore)
মরা কোটালে ভাটার সময় সমুদ্র জলের নিম্নসীমা থেকে ভৃগুতটের পাদদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ভূমিভাগকে তটভূমি বলে।
ক) সম্মুখ তটভূমি (Fore Shore)
মরা কোটালে ভাটার সময় সমুদ্রজলের নিম্নসীমা থেকে ভরা কোটালে জোয়ারের সময়সমুদ্র জলের উর্ধ্বসীমা পর্যন্ত ভূমিভাগকে সম্মুখ তটভূমি বলে। সম্মুখ তটভূমি জোয়ারের সময় জলের নিচে চলে যায় এবং ভাটার সময় উন্মুক্ত হয়।
খ) পশ্চাৎ তটভূমি (Back Shore)
ভরা কোটালের জোয়ারের জলের উর্ধ্বসীমা থেকে ভৃগুতটের পাদদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে পশ্চাৎ তটভূমি বলে। এই অংশে ঝটিকা তরঙ্গের জল পৌঁছায়।
গ) পুরোদেশীয় তটভূমি (Off Shore)
মরা কোটালের ভাটার সময় সমুদ্রজলের নিম্নসীমা থেকে মহীসোপানের শেষসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল পুরোদেশীয় তটভূমি নামে পরিচিত। এই অঞ্চল সব সময় সমুদ্রজলের তলায় থাকে।
তটরেখা (Shore Line)
কোন নির্দিষ্ট সময়ে তটভূমিতে সমুদ্রের জলরাশি যে রেখায় মিলিত হয় তাকে তটরেখা বলে। জোয়ার এবং ভাটার সময় জলতল ওঠানামা করায় তটরেখা সবসময় পরিবর্তিত হয়।
উপকূল রেখা (Coast Line)
পশ্চাৎ তটভূমির উর্ধ্বসীমা এবং ভৃগুর পাদদেশ যে রেখা বরাবর মিলিত হয় তাকে উপকূল রেখা বলে। অন্যভাবে বলা যায় ঝটিকা তরঙ্গের জল যতদূর পর্যন্ত পৌঁছায় তার শেষ সীমা বরাবর রেখাকে উপকূল রেখা বলে।
সৈকত (Beach)
সমুদ্র তরঙ্গ দ্বারা বাহিত পদার্থ তটভূমির উপর সঞ্চিত হয়ে যে অল্প ঢালু সমতলভূমির সৃষ্টি করে তাকে সৈকত বা বেলাভূমি বলে।
ফেচ কি?
উন্মুক্ত সমুদ্রে বাতাস বাধাহীনভাবে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ফেচ বলে।
বার্ম (Berm)
যখন ঝটিকা তরঙ্গের মাধ্যমে আসা নুড়ি, বালি প্রভৃতি যখন সম্মুখ তটভূমি এবং পশ্চাৎ তটভূমির সংযোগস্থলে সঞ্চিত হয়ে শিরার মত অল্প উঁচু ভূমি গঠন করে তাকে বার্ম বলে।