ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাস্ট ভূমিরূপ লক্ষ্য করা যায়। কাস্ট ভূমিরূপ ভালোভাবে গড়ে ওঠার জন্য কিছু আনুকুল অবস্থা থাকা প্রয়োজন। যেমন-
১. দ্রবণীয় শিলাস্তরঃ
ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি শিলাস্তর দ্রবণীয়, যেমন- চুনাপাথর, ডলোমাইট, চক ইত্যাদি দ্বারা গঠিত হওয়া হওয়া প্রয়োজন। মূলত চুনাপাথর দ্বারা গঠিত স্তরের ওপর কাস্ট ভূমিরূপ ভালো ভাবে গড়ে ওঠে।
২. ফাটল এবং দারণের উপস্থিনেঃ
নিরেট চুনাপাথরের মধ্য দিয়ে খুব কম পরিমাণ জল ভূ-গর্ভে প্রবেশ করতে পারে। কাস্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার জন্য চুনাপাথর স্তরটি ফাটল এবং দারণ সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ফাটল এবং দারণের মধ্য দিয়ে জল সহজেই ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফলে দ্রবন কার্য ভালো হয়।
৩. গভীর স্তরঃ
চুনাপাথর বা দ্রাব্য স্তরটি গভীর হওয়া প্রয়োজন। স্তর গভীর না হলে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় না।
৪. মাঝারি বৃষ্টিপাতঃ
কাস্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার জন্য মাঝারি বৃষ্টিপাত আদর্শ। এর ফলে জলপীঠ বা জলতল ভূ-পৃষ্ঠের অনেক নিচে অবস্থান করে এবং ভূপৃষ্ঠের জল অনুস্রাবন প্রক্রিয়ায় অনেকটা নিচে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে দ্রবন প্রক্রিয়া বেশি কার্যকর হয়।
৫. সমুদ্রতল থেকে উচ্চতাঃ
অঞ্চলটি সমুদ্রতল থেকে যথেষ্ট উঁচুতে অবস্থান করা প্রয়োজন। এর ফলে ভৌমজলের দ্রবনকার্য অধিক হয়।
৬. নদীর উপস্থিতিঃ
চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলে প্রবেশ্য শিলাস্তরকে কেটে নিচের অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের উপর দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়া প্রয়োজন। এর ফলে অনুস্রাবন প্রক্রিয়ার সময় দ্রবন কার্যের মাধ্যমে যে জল মাটির নিচে গমন করে তা সহজেই নদীর মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়। ফলে অনুস্রাবন প্রক্রিয়ায় পুনরায় ভূ-অভ্যন্তরের জল যাওয়ার অসুবিধা হয় না।