Type Here to Get Search Results !

ভৌমজল কি? ভৌমজল কাকে বলে? ভৌমজলের উৎস এবং প্রকারভেদ।সহজাত জল,উৎস্যন্দ জল

 

ক)  ভৌমজল কি? ভৌম জল কাকে বলে?

              মৃত্তিকা কণার মধ্যে অসংখ্য ফাঁক বা রন্ধ্র থাকে।এই রন্ধ্রের মধ্যে জল এবং বায়ু পূর্ণ থাকে। মৃত্তিকা কণার মধ্যে অবস্থিত ফাঁকা স্থানে যে জল আবদ্ধ থাকে তাকে ভৌমজল বলে। এছাড়া মৃত্তিকা কনার চারপাশে জলের স্তর লক্ষ্য করা যায়। এই জল জলাকর্ষী জল এবং কৌশিক জল রূপে থাকে।  

             বৃষ্টির জল, বরফগলা জল বা অন্যান্য উৎস থেকে যে জল ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় তা মৃত্তিকার রন্ধ্রের মধ্য দিয়ে অনুস্রাবন প্রক্রিয়ায় ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এই জল ভৌমজল নামে পরিচিত।


খ) ভৌমজলের উৎস

           অধঃক্ষেপনের জল বা বৃষ্টির জল, হিমবাহগলা জল, শিশির বা কুয়াশা থেকে ভূপৃষ্ঠে পতিত জল, সমুদ্রের জল, নদীর জল ভৌম জলের প্রধান উৎস।


গ) ভৌমজলের শ্রেণীবিভাগ

          ভৌমজল বেশ কয়েক প্রকারের হয়। যেমন-


        ১. আবহিক জল (Meteoric Water)

                    অবহিত জল বলতে বায়ুমণ্ডল থেকে যে জল ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় এবং ভৌমজলের ভাণ্ডার তৈরি করে তাকে বোঝায়। বায়ুমণ্ডল থেকে বৃষ্টিপাত, তুষারগলা জল, শিশির প্রভৃতির জল ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়ে ভূ-অভ্যন্তরে গমন করে। এই প্রকার জলকে আবহিক জল বলে। আবহিক জল ভৌমজলের প্রধান উৎস।


        ২. সহজাত জল (Connate Water)

                  সমুদ্রের তলদেশে বা হ্রদের তলদেশে পলি সঞ্চিত হয় ।প্রচণ্ড চাপে এই পলি পরবর্তীতে পাললিক শিলায় পরিণত হয়। পাললিক শিলায় পরিবর্তিত হওয়ার সময় পলিকণার মধ্যে যে জল থাকে তা পাললিক শিলার মধ্যে আবদ্ধ হয়। এই প্রকার জলকে সহজাত বা জন্মগত জল বলে। একে অনেক সময় জীবাশ্ম জল (fossil water) বলে।


        ৩. উৎস্যন্দ জল (Juvanile Water)

                   'উৎ'  অর্থ 'উত্থান' এবং 'স্যন্দ' অর্থ 'ক্ষরণ'। 

                  ভূ-অভ্যন্তরে ম্যাগমার মধ্যে জল প্রচন্ড উত্তপ্ত এবং বাষ্পীভূত অবস্থায় থাকে। অগ্ন্যুদগমের সময় ম্যাগমা নির্গত হয়। ম্যাগমার সঙ্গে মিশ্রিত উত্তপ্ত জল এবং বাষ্প ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়। এই জলকে উৎস্যন্দ জল বলে। এই ধরনের জল উত্তপ্ত এবং খনিজ পদার্থ মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। ম্যাগমা থেকে সৃষ্টি হয় বলে এই জলকে ম্যাগমাটিক জল (Magmatic Water) বলে।


          ৪. মহাসাগরীয় জল (Oceanic Water)

                মহাসাগরের জল উপকূলবর্তী এলাকায় শিলার মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এইরূপ জলকে মহাসাগরীয় জল বলে।

          ৫. ঘনীভূত জল (Condensed Water)

                 মরুভূমি অঞ্চলে অধিক উষ্ণতার জন্য বাষ্পীভবনের হার বেশি। শিলার মধ্যে অবস্থিত রন্ধ্রের বায়ু উষ্ণ থাকে। বায়ুচাপের তারতম্যের জন্য অনেক সময় শিলা রন্ধ্রের মধ্যে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবেশ করে। পরবর্তীতে উষ্ণতা কমলে এই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়। একে ঘনীভূত জল বলে।


          ৬. রূপান্তরিত জল (Metamorphic Water)

                   শিলা রূপান্তরের সময় শিলার মধ্যে আবদ্ধ জলকে রূপান্তরিত জল বলে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area