1. অভয়ারণ্য ( Wildlife Sanctuaries )
অভয়ারণ্য হল সেই সকল সংরক্ষিত বনভূমির যেখানে কিছু বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাস করে বন্যপ্রাণীরা যাতে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে এবং প্রজজনে অংশ নিতে পারে তার ব্যবস্থা এখানে করা হয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশে এখানে শিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকে।
যেমন- পশ্চিমবঙ্গের লোথিয়ান আইল্যান্ড, বেথুয়াডহরি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য অভয়ারণ্য।
ভারতে অভয়ারণ্যের সংখ্যা 564 টি এবং পশ্চিমবঙ্গের অভয়ারণ্যের সংখ্যা হল 15 টি।
2. জাতীয় উদ্যান ( National Park )
জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্ক বলতে সেই সকল অঞ্চলকে বোঝায় যেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ সকল ধরনের জীব অর্থাৎ উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের নিজস্ব পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়।IUCN এর উদ্যোগে সারা পৃথিবীব্যাপী 100 টির বেশি দেশে জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে।
ভারত সরকারের আইন দ্বারা জাতীয় উদ্যান নিয়ন্ত্রিত হয় এখানে পশু শিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
যেমন- উত্তরপ্রদেশের করবেট, মধ্যপ্রদেশের কানহা প্রভৃতি।
ভারতে জাতীয় উদ্যানের সংখ্যা 106 টি । পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় উদ্যানের সংখ্যা হল 5 টি।যেমন- বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ (1992), গোরুমারা জাতীয় উদ্যান (1994), নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যান(1986), সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান(1992), সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান(1984)।
3. সংরক্ষিত জীবমণ্ডল (Biosphere Reserve)
কোন অঞ্চলের জীবমণ্ডল বা জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বা বসবাসকারী জীবসমূহের প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ তৈরী করে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ করাকে সংরক্ষিত জীবমন্ডল বা বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বলে।
ভারতে মোট 18 টি জীবমণ্ডল সংরক্ষিত বা বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ অঞ্চল রয়েছে।যা UNESCO এর সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধান করেন।
জীবমণ্ডল সংরক্ষণ বা সংরক্ষিত জীবমণ্ডল অঞ্চলের বলয়
ক) কেন্দ্রীয় অঞ্চল (Core Zone)
এটি সংরক্ষিত জীবমন্ডলের একেবারে মাঝখানের অঞ্চল এখানে মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
খ) মধ্যবর্তী অঞ্চল (Buffer Zone)
এখানে মানুষের সীমিত সক্রিয়তাকে অনুমোদন করা হয়। অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এই অঞ্চলে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে যদিও তা অনুমোদন সাপেক্ষে।
গ) পরিবর্তনশীল অঞ্চল (Transitional Zone)
এই অংশে আদিবাসীরা বসবাস করে এবং তাদের প্রয়োজনে চাষবাস করে থাকে। মৃতপ্রায় উদ্ভিদগুলোকে পরিষ্কার করে পুনরায় অরণ্য স্থাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়া এই অঞ্চলে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার অনুমোদন দেওয়া হয়।
4. সুরক্ষিত বনভূমি (Protected Forest)
জনগণ সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে সুরক্ষিত বনভূমিকে ব্যবহার করতে পারে। তবে এখানে পশু শিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
5. সংরক্ষিত বনভূমি (Reserve Forest)
Indian Forest Act 1927 অনুযায়ী সংরক্ষিত বনভূমি নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে পশু শিকার ও গাছ কাটা নিষিদ্ধ থাকে। যেমন- অসমের কাজিরাঙা, পশ্চিমবঙ্গের গরুমারা, চাপড়ামারি ।