১. আয়তনঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যানের আয়তন 0.4 থেকে 3600 বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ প্রাণীদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে সুরক্ষিত থাকে। এর আয়তন প্রায় 5700 বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
২. সংরক্ষিত প্রজাতির সংখ্যাঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যানে একটি বা কয়েকটি বন্য প্রজাতির সংরক্ষণের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য গড়ে তোলা হয় না।
৩. পর্যটনঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ মূলত সংরক্ষণ এবং গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হয়।কিছু অংশ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
৪. মানুষের ক্রিয়া-কলাপঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যানে মানুষের ক্রিয়া-কলাপ অনুমোদন করা হয় না।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী অধিবাসীদের কার্যকলাপ সীমিত পরিমাণে অনুমোদন করা হলেও বাইরের মানুষের কার্যকলাপ অনুমোদন করা হয় না।
৫. মূল গুরুত্বঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যানে সংরক্ষণ করা হয় প্রাণী, উদ্ভিদ এবং সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র। এছাড়া ঐতিহাসিক বস্তু এখানে সংরক্ষণ করা হয়।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে সমগ্র জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করা হয়।
৬. পরিচালনাঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যানের পরিচালনা অতটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করা হয় না।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করা হয় এবং তত্ত্বাবধান করা হয়।
৭. অন্তর্ভুক্তিকরনঃ
জাতীয় উদ্যানঃ জাতীয় উদ্যানের মধ্যে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের মধ্যে এক বা একাধিক জাতীয় উদ্যান অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
৮. উদাহরণঃ
জাতীয় উদ্যানঃ যেমন- পশ্চিমবঙ্গের গরুমারা, সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান।
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভঃ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।
আরও পড়ুন