"উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যের ফলে শিলা আবহবিকারগ্রস্ত হয়"-চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে শিলার ফাটলের মধ্যে জমে থাকা জল বরফে পরিণত হবার ফলে প্রচণ্ড চাপে শিলা ভেঙে গিয়ে বা টুকরো টুকরো হয়ে যে আবহবিকার ঘটায় তাকে তুষারের কার্যের ফলে গঠিত আবহবিকার বলে।
উপযুক্ত স্থান:
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে র যেখানে গ্রীষ্মকালে বরফ গলে জলে পরিণত হয় এবং শীতকালের জল জমে বরফে পরিণত হয় অথবা দিনের বেলায় বরফ গলে যায় এবং রাতের বেলা জল জমে বরফে পরিণত হয় সেখানে তুষারের ক্রিয়া কার্যকর হয়।
প্রক্রিয়া:
গ্রীষ্মকাল বা দিনের বেলা সূর্যের তাপে বরফ গলে জলে পরিণত হলে শিলাস্তরের ফাটলের মধ্যে জল প্রবেশ করে। শীতকাল বা রাতের বেলা তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেলে শিলাস্তরের ফাটলের মধ্যে জল জমে বরফে পরিণত হয়। জল বরফে পরিণত হলে আয়তন শতকরা 10 ভাগ বৃদ্ধি পায়। আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় বরফ ফাটলের দেওয়ালে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ফাটলের আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং শিলাস্তর টি ভেঙে টুকরো টুকরো খন্ডে বিভক্ত হয়। এই ধরনের শিলাখণ্ড গুলি পর্বতের গায়ে সঞ্চিত হয়। এদের একসঙ্গে স্ক্রি বা ট্যালাস বলে।
অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় শিলা কিভাবে বিয়োজিত হয় উদাহরণসহ লেখ।
লৌহ মিশ্রিত খনিজের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় গঠিত অবহবিকার অক্সিডেশন বা জারণ নামে পরিচিত।
পদ্ধতি:
লৌহ আকরিকে লোহা ' ফেরাস অক্সাইড ' রূপে থাকলে তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।ফেরাস অক্সাইডের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন যুক্ত হয় এবং ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয়ে লিমোনাইট সৃষ্টি করে।লিমোনাইট খুব সহজেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।