বিভিন্ন প্রাণীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যদি মূল শীলাকে ভেঙ্গে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোনায় বিভক্ত করে তাকে প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট আবহবিকার বলে। প্রাণীদের দ্বারা সৃষ্ট আবহবিকার দুই রকমের হয়। যথা-
১. প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট যান্ত্রিক আবহবিকার:
ইঁদুর, খরগোশ, উইপোকা, খেকশিয়াল প্রভৃতি শিলার মধ্যে গর্ত করে বাসস্থান তৈরি করে। গর্ত করার সময় বিভিন্ন শিলা ভেঙে যায় এবং আবহবিকার প্রাপ্ত হয়। এগুলি প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট যান্ত্রিক আবহবিকার।
এছাড়া মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপ যেমন- রাস্তাঘাট নির্মাণ, কৃষিকার্য, শিল্পস্থাপন, গৃহনির্মাণ প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষ শিলার আবহবিকার ঘটাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ মানুষ মূল শিলাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র খন্ডে বিভক্ত করে।
২. প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট রাসায়নিক আবহবিকার:
পশুপাখির বর্জ্য পদার্থ যেমন- মল-মূত্র প্রভৃতি শিলার রাসায়নিক আবহবিকারে সহায়তা করে। প্রাণী মারা যাওয়ার পর তাদের দেহ নিঃসৃত রস, এছাড়া বিভিন্ন জীবাণু,কীটপতঙ্গ, ব্যাকটেরিয়ার দেহ নিঃসৃত রস ও অ্যাসিড শিলার রাসায়নিক আবহবিকারে সহায়তা করে।