Type Here to Get Search Results !

পাতসংস্থান তত্ত্ব (Plate Tectonic Theory)

  

পাতসংস্থান তত্ত্ব (Plate Tectonic Theory)

      বিংশ শতাব্দীতে প্লেট ভূ-গঠন মতবাদ এমনই এক ধারণার অবতারণা করে যা দিয়ে ভূ-তত্ত্ব সংক্রান্ত যাবতীয় ঘটনার ব্যাখ্যার চেষ্টা করা হয়। সমুদ্রবক্ষের বিস্তার, মহীসঞ্চরণ, ভূত্বকের গঠন, ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত প্রভৃতি এই তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করা যায়। 1965 সালে জে. টি. উইলসন "Nature"পত্রিকায় "প্লেট" শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন।
1968 সালে মর্গান এবং পিঁচো মতবাদটির সহজ-সরল ব্যাখ্যা দেন। সুতরাং পাত সংস্থান তত্ত্বের স্রষ্টা হিসেবে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম না করে একে অনেক ব্যক্তির মৌলিক গবেষণার সম্মিলিত ফল বলাই ভালো। 


স্বীকৃত বিষয় বা অনুমাুন সমূহ (Assumption)

          এই মতবাদে কতকগুলি বিষয়কে ঘটনা হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। যেমন-

  •  সমুদ্র বক্ষের বিস্তার হচ্ছে অর্থাৎ কতকগুলি রেখা থেকে নতুন সমুদ্রপৃষ্ঠের সৃষ্টি হচ্ছে।
  •  ভূ-পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল মোটামুটি স্থির রয়েছে। যদি স্থির না থাকে তাহলেও ভূ-পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল যে হারে বদলাচ্ছে তার থেকে অনেক দ্রুত হারে সমুদ্রবক্ষের বিস্তার হচ্ছে।
  • একবার নতুন ভূত্বকের সৃষ্টি হলে তা একটা শক্ত পাতে পরিণত হচ্ছে।


পাতের সংজ্ঞা(Definition of Plate)  এবং বিভিন্ন প্রকার পাত( Type of Plate)

      ভূত্বক ছোট-বড় কতকগুলি পাতলা অনমনীয় ও কঠিন চলমান খন্ডে বিভক্ত তাদের প্লেট বা পাত বলে। খন্ড গুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে 70-100 কিলোমিটার গভীর এবং 1000000-100000000 বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল যুক্ত হয়। গভীরতা থেকে বিস্তার বেশি থাকায় এদের পাত বলে।
       অবস্থান অনুসারে পাতকে মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। আয়তন অনুসারে পাত 3 প্রকার। যেমন-

  বড় পাত

          পৃথিবীতে সাতটি(7 টি )  বড় পাত আছে। এগুলি হল-
প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, উত্তর আমেরিকা পাত, দক্ষিণ আমেরিকা পাত,আফ্রিকা পাত, কুমেরু পাত, ইউরেশীয় পাত এবং অস্ট্রেলিয়া পাত (ভারতীয় পাত)

  মাঝারি পাত

 
         নাজকা পাত, আরবীয় পাত, কোকো পাত, ফিলিপাইনস পাত, স্কোশিয়া পাত,  ক্যারিবিয়ান পাত

  ছোট পাত

           মাদাগাস্কার পাত, সোমালি পাত, দক্ষিণ স্যান্ডউইচ পাত, পানামা পাত, অ্যাড্রিয়াটিক পাত প্রভৃতি।



পাত সঞ্চালনের কারণ

          পাতের সঞ্চালন নিম্নলিখিত কারণে হতে পারে। যেমন-

  ১. পরিচলন স্রোত 

               ব্রিটিশ ভূতত্ত্ববিদ আর্থার হোমসের পরিচলন স্রোত মতবাদ অনুসারে ঊর্ধ্বমুখী স্রোত দুইদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার সময় পাত গুলি দুদিকে সরে যায় এবং দুটি নিম্নমুখী স্রোতের জন্য পাতগুলি পরস্পরের কাছে চলে আসে।

২. অভিকর্ষ টান

                হ্যাগার এর মতে প্রতিসারী পাত সীমানায় প্রচুর সামুদ্রিক শৈলশিরার সৃষ্টি হয় এবং অভিসারী পাত সীমানায় নিচু সামুদ্রিক খাত সৃষ্টি হয়।
 উঁচু থেকে নিচের দিকে ঢাল বরাবর অভিকর্ষ বল কাজ করে। এভাবে পাতের মধ্যে তৈরি হওয়া শক্তি পাত সঞ্চালনে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে।

৩. পাতের নিমজ্জন জনিত টান

                 অভিসারী পাত সীমানা বরাবর নিমজ্জন এর ফলে পাতের অন্য অংশে টান জনিত বলের সৃষ্টি হয় এবং পাতগুলি সঞ্চালিত হয়। 

৪. ম্যাগমার জোরালো অনুপ্রবেশ

                     প্রতিসারী পাত সীমানায় যে সামুদ্রিক শৈলশিরা অবস্থিত তার শীর্ষ দেশে চ্যুতি রেখা বরাবর ঊর্ধ্বমুখী ম্যাগমার জোরালো অনুপ্রবেশ ঘটে। একে ম্যাগমা ইনজেকশন বলে। এর ফলে  পার্শ্বচাপে পাতের দুদিকে অনুভূমিক সঞ্চরণ হয়।   



বিভিন্ন প্রকার পাত সীমানা এবং গঠিত ভূমিরূপ

            প্রধানত তিন ধরনের পাত সীমানা সৃষ্টি হয়েছে। যথা- প্রতিসারী পাতসীমানা, অভিসারী পাতসীমানা এবং নিরপেক্ষ পাতসীমানা

A. প্রতিসারী পাতসীমানা ও গঠিত ভূমিরূপ

             যেখানে দুটি পাত পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় সেই সীমানাকে প্রতিসারী পাত সীমানা বা বিস্তার মান পাতসীমানা বলে। নতুন ভূত্বক গঠন করে বলে একে গঠনকারী পাত সীমানা বলা হয়। দুই ধরনের প্রতিসারী পাত সীমানা দেখা যায়। যথা-

      ক. মহাসাগরীয়-মহাসাগরীয় প্রতিসারী পাত সীমানা

        এই পাত সীমানায় একটি মহাসাগরীয় পাত অপর মহাসাগরীয় পাতের থেকে দূরে সরে যায়। এই সীমানায় গঠিত ভূমিরূপ গুলি হল-

i) নতুন সামুদ্রিক ভূত্বক গঠন
           দুটি পাত সরে গেলে সীমানা অঞ্চলে ফাটল সৃষ্টি হয়।  ফাটল দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরের ম্যাগমা বেরিয়ে এসে জমাটবদ্ধ হয়ে নতুন সামুদ্রিক ভূত্বক গঠন করে।


ii) সামুদ্রিক শৈলশিরা গঠন
           প্রতিসারী পাতসীমানায় সৃষ্ট ফাটল এর মধ্য দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরের ব্যাসল্ট জাতীয় লাভা ক্রমাগত বেরিয়ে এসে সঞ্চয় হতে থাকে এবং উঁচু হয়ে সামুদ্রিক শৈলশিরা গঠন করে। যেমন- আটলান্টিক মহাসাগরে মধ্য-আটলান্টিক শৈলশিরা।


iii) স্রংস উপত্যকা
           সামুদ্রিক ভূত্বক দুদিকে সরে গেলে সামুদ্রিক শৈলশিরার শীর্ষদেশে টানের ফলে ভূত্বক নিচে বসে যায় এবং সংস্র উপত্যকা গঠন করে। যেমন- মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা বরাবর এই  উপত্যকা দেখা যায়।


iv) সমুদ্রতলের বিস্তার
           মহাসাগরীয় পাতগুলি পরস্পর বিপরীত দিকে চলনের ফলে সমুদ্রবক্ষের আয়তন বৃদ্ধি পায়।



       খ. মহাদেশীয়-মহাদেশীয় প্রতিসারী পাতসীমানা

                মহাদেশীয় অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়ে একাংশ অপরাংশ থেকে দূরে সরে যেতে থাকলে এই ধরনের পাতসীমানা গড়ে ওঠে। এই ধরনের পাতসীমানায় গঠিত ভূমিরূপ গুলি হল-

i) গ্রস্ত উপত্যকা
      মহাদেশীয় ভূখণ্ডে ফাটল সৃষ্টি হয়ে দু'পাশে প্রতিসরিত হলে চ্যুতির সৃষ্টি হয় এবং চ্যুতি বরাবর গ্রস্ত উপত্যকা গড়ে ওঠে। যেমন-আফ্রিকার পূর্বে অবস্থিত The Great Rift Valley এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে।


ii) সাগর ও মহাসাগর সৃষ্টি
         গ্রস্ত উপত্যকা আরো প্রসারিত হলে সংকীর্ণ সাগর সৃষ্টি হয়। যেমন-লোহিত সাগর। পরবর্তীকালে উপত্যকাটি সমুদ্র বক্ষের বিস্তারের মাধ্যমে আরও প্রসারিত হলে মহাসাগরের সৃষ্টি হয়। যেমন- আফ্রিকান-ইউরেশীয় পাত এবং আমেরিকা  পাত পরস্পর দূরে সরে যাওয়ার ফলে আটলান্টিক মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে।



B. অভিসারী পাতসীমানা এবং গঠিত ভূমিরূপ

       যে পাত সীমানায় দুটি পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলে। তিন প্রকার অভিসারী পাত সীমানা দেখা যায়। যেমন-

     ক. মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় অভিসারী পাত সীমানা

         এই পাত সীমানায় মহাসাগরীয় পাত ভারী হওয়ায় মহাদেশীয় পাতের নিচে চালিত হয়। মহাসাগরীয় পাত 30° থেকে 80° কোণ করে মহাদেশীয় পাতের নিচে প্রবেশ করে। নিমজ্জিত পাতের ঢাল যুক্ত অংশে ভূমিকম্প কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। নিমজ্জিত পাতের ভূমিকম্প প্রবণ ঢালু পাত সীমানাকে বেনিয়ফ জোন (Benioff Zone) বলে।
      এই পাত সীমানায় যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তা হল-

i) সমুদ্র খাত
        যে অঞ্চলে মহাসাগরীয় পাত মহাদেশীয় পাতের নিচে নিমজ্জিত হয় সেখানে গভীর সমুদ্র খাতের সৃষ্টি হয়। যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিমে পেরু-চিলি খাত।


ii) জিওসিনক্লাইন
           অগ্রগামী সামুদ্রিক পাতের চাপে মহাদেশের প্রান্তভাগ ধনুকের মত বেঁকে সমুদ্রের মধ্যে আংশিক নিমজ্জিত হয়। একে জিওসিনক্লাইন বলে। জিওসিনক্লাইনে পলি সঞ্চিত হয়।


iii) ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি
               জিও সিনক্লাইনে সঞ্চিত পলিরাশি মহাসাগরীয় পাতের ঘর্ষণে সংকুচিত হয় এবং ভাঁজপ্রাপ্ত হয়ে উপরে উঠে ভঙ্গিল পর্বত গঠন করে। পরপর সমান্তরালভাবে একাধিক ভঙ্গিল পর্বতশ্রেণী গঠিত হলে তাকে কর্ডিলেরা বলে। আমেরিকার পশ্চিম দিকে অবস্থিত রকি এবং আন্দিজ পর্বতমালা এভাবে সৃষ্টি হয়েছে।


iv) আগ্নেয়গিরি
                  নিমজ্জিত মহাসাগরীয় পাতটি অভ্যন্তরীণ তাপে গলে গিয়ে অ্যান্ডেসাইট ম্যাগমায় পরিনত হয়। এই ম্যাগমা অধঃপাত বলয়ের উপর অবস্থিত মহাদেশের দুর্বল অংশ দিয়ে নির্গত হয়ে  অগ্নেয়  বৃত্তমালা সৃষ্টি করে। এগুলি মহাদেশীয় বৃত্তমালা (Continental Arc)   নামে পরিচিত। একে অন্তর্দেশীয় আগ্নেয় দ্বীপমালা বলা হয়।



খ. মহাসাগরীয়-মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা

          দুটি মহাসাগরীয় পাত পরস্পর মুখোমুখি সঞ্চালিত হলে অপেক্ষাকৃত ভারী মহাসাগরীয় পাতটি নিম্নগামী হয়। এই পাত সীমানায় গঠিত ভূমিরূপগুলি হল-

 
i) সমুদ্রখাত
        এই অঞ্চলে দুটি পাতের নিম্নগামী প্রবণতা থাকায় শিলামন্ডলে অতি গভীর অবতল বাঁকের সৃষ্টি হয় যা পশ্চাৎ পর্যঙ্ক নামে পরিচিত। এই পর্যঙ্কই গভীর সমুদ্রখাত নামে পরিচিতি লাভ করে। জাপান সমুদ্রেে অবস্থিত মারিয়ানা খাত, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সুন্দা খাত প্রভৃতি ।

ii) মেলাঙ্গে

            যে পাত টি নিম্নগামী হয় সেই পাতের উপর সঞ্চিত পলিরাশি পাতের সঙ্গে নিম্নগামী না হয়ে অল্প গভীর স্থানে ভাঁজপ্রাপ্ত হয় এবং সংঘট্টচ্যুত হয়ে বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালার বহিঃস্থ অংশের সৃষ্টি হয়। একে মেলাঙ্গে বলে। 


iii) আগ্নেয় দ্বীপ

            নিম্নগামী পাতটি 100 কিলোমিটার গভীরতায় প্রবেশ করলে গলে যায়। গলিত পদার্থ অগ্নুৎপাতের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে এবং সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি করে। ক্রমাগত লাভা সঞ্চয়ের ফলে পর্বত গুলি সমুদ্র তলের বা সুমুদ্র জল তলের উপরে দ্বীপমালা রূপে প্রকাশিত হয়। একে বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা( Island Arc) বলে। যেমন-হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, এলুশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি।




গ. মহাদেশীয়-মহাদেশীয় অভিসারী পাত সীমানা

         দুটি মহাদেশীয় পাত পরস্পরের দিকে সঞ্চারিত হলে যে পাত সীমানা গড়ে ওঠে তাকে মহাদেশীয়-মহাদেশীয় 

অভিসারী পাত সীমানা বলে। এই পাত সীমানায় যে ভূমিরূপ গুলি গড়ে ওঠে-


i) জিওসিনক্লাইন
       যেখানে দুটি মহাদেশীয় পাত পরস্পরের দিকে সঞ্চারিত হয় সেখানে পাত দুটির মধ্যে এক অগভীর সমুদ্র বর্তমান থাকে। একে জিওসিনক্লাইন বলে।

ii) ভঙ্গিল পর্বত
       জিওসিনক্লাইনে কোটি কোটি বছর ধরে মহাদেশীয় অংশ থেকে আগত পলি সঞ্চিত হয়।মহাদেশীয় পাত পরস্পরের দিকে সঞ্চারিত হলে সঞ্চিত পলি রাশির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। অবশেষে অপেক্ষাকৃত ভারী পাতটি  নিচে চলে যাওয়ার সময় পলিরাশি আরও সংকুচিত হয়ে ভাঁজপ্রাপ্ত হয়। পাতদুটি আরো অগ্রসর হলে ভাঁজপ্রাপ্ত শিলাস্তর ওপরে উঠে ভঙ্গিল পর্বত গঠন করে। যেমন- হিমালয় পর্বত ইউরেশিয়া এবং ভারতীয় পাতের মধ্যে, আল্পস পর্বত আফ্রিকা এবং ইউরেশিয়া পাতের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।

iii) সুচার লাইন বা সিবন রেখা
          যে পাত সীমানায় দুটি মহাদেশ জোড়া লেগে যায় তাকে সুচার লাইন বা সিবন  রেখা বলে। যেমন- সিন্ধু উপত্যকায় সিন্ধু সীমারেখা

     বৈশিষ্ট্যঃ-
  •  সিবন রেখার বড় বড় দুটি পাতের শিলার মিশ্রণ দেখা যায়।
  •  সিবন রেখা কয়েক শত মিটার থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হয়।


C. নিরপেক্ষ পাত সীমানা

           কোনরকম সংঘর্ষ ছাড়াই যে সীমান্ত বরাবর দুটি পাত পাশাপাশি পরস্পরকে অতিক্রম করে তাকে নিরপেক্ষ পাত সীমানা বলে। পাত দুটি একই দিকে বা বিপরীত দিকে সঞ্চালিত হতে থাকে। এই সীমানায় অগভীর কেন্দ্রবিশিষ্ট  ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। যেমন- ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়।
                               এই অঞ্চলে গঠিত ভূমিরূপ গুলি হল
   i) আয়াম স্খলন চ্যুতি
          এই পাত সীমানায় আয়্যাম স্খলন চ্যুতি দেখা যায়। এটি কখনো কখনো 100 থেকে 150 কিলোমিটার গভীর হয় ক্যালিফোর্নিয়ার সান আন্দ্রিজ চ্যুতি



আরও পড়ুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area