A. শক্তি অর্জন (Energy Acquisition),.
সূর্যের আলো হলো বাস্তুতন্ত্রের শক্তির মূল উৎস। সবুজ উদ্ভিদ বা উৎপাদক ক্লোরোফিলের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তিকে শোষণ করে। সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সময় এই শোষিত সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। উৎপন্ন খাদ্যের মধ্যে এই সৌরশক্তি স্থৈতিক শক্তিরূপে আবদ্ধ হয়।একে শক্তির অর্জন (Energy Acquisition) বলে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে পরিমান আলো এসে পড়ে তার শতকরা 0.1 অংশ মাত্র সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ হয়।
B.শক্তির ব্যবহার ( Energy Utilisation)
সবুজ উদ্ভিদ বা উৎপাদকের দেহে যে পরিমাণ সৌরশক্তি আবদ্ধ হয় তার কিছু অংশ উদ্ভিদ শারীরবৃত্তীয় কাজে (যেমন- রেচন, শ্বসন প্রক্রিয়া) ব্যবহার করে। কিছু অংশ রেচন পদার্থ রূপে পরিবেশে নির্গত হয়। অবশিষ্ট শক্তি হল আসল অর্জিত শক্তি। আসল অর্জিত শক্তির কিছু অংশ বিভিন্ন প্রাণী বা খাদকরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রহণ করে। শ্বসন প্রক্রিয়ায় ওই শক্তিকে গতি শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং বিভিন্ন জৈবিক কাজগুলি নিয়ন্ত্রণ করে ।
C.শক্তির স্থানান্তরকরণ (Transfer of Energy)
বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক স্তর থেকে শক্তি প্রথম শ্রেণীর খাদকে এবং পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর খাদকের মধ্যে প্রবাহিত বা স্থানান্তরিত হয় ।