জে. জিনস ও এইচ. জেফ্রিস এর জোয়ার তত্ত্ব(Tidal hypothesis of James Jeans and Harold Jeffreys)
জে. জিনস ও এইচ. জেফ্রিস(James Jeans and Harold Jeffreys)এর জোয়ার তত্ত্বটি চেম্বারলিন ও মুলটনের গ্রহাণু তত্ত্বের অনুরূপ। 1918-1919 খ্রিস্টাব্দে জে. জিনস ও এইচ. জেফ্রিস সৌরজগতের উৎপত্তি সম্পর্কে জোয়ার তত্ত্বের কথা বলেন।
জোয়ার তত্ত্বের মূল কথা
গ্রহ উপগ্রহ সৃষ্টির পূর্বে সূর্য একটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড ছিল। এই সময় এক বিশাল আকার নক্ষত্র সূর্যের সামনে চলে আসে। আগন্তুক নক্ষত্রের প্রচন্ড আকর্ষণে সূর্যের পৃষ্ঠতলে বা বাইরের অংশে প্রবল জোয়ারী বলের সৃষ্টি হয়। এর ফলে এক সময় সূর্যের বাইরের কিছুটা বাষ্পীয় অংশ বেরিয়ে যায় এবং উভয় নক্ষত্রের আকর্ষনে বিচ্ছিন্ন অংশটি মাকু বা পটলের মত (দুই প্রান্ত সরু এবং মধ্যভাগ স্ফীত) আকার ধারণ করে।
আগন্তুক নক্ষত্রটি অদৃশ্য হলে বিচ্ছিন্ন অংশটি সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকে। এক সময় বিচ্ছিন্ন অংশটি খন্ড খন্ড আকারে ভেঙে যায় এবং ভাঙা অংশগুলি জমাটবদ্ধ হয়ে গ্রহের সৃষ্টি করে।
সূর্যের আকর্ষণে গ্রহগুলির ওপর জোয়ারী বল কার্যকরী হয় এবং কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে জমাটবদ্ধ হয়ে উপগ্রহের সৃষ্টি হয়।
মতবাদের সমালোচনা
- গ্রহগুলির আয়তন অনুযায়ী বিন্যাসে ত্রুটি আছে।
- এই মতবাদে গ্রহগুলির কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষণ এর নীতি মানা হয়নি।
- এই মতবাদে বলা হয়েছে গ্রহগুলির সম্মিলিত ঘূর্ণন বেগ সূর্য থেকে কম হবে। বাস্তবে দেখা যায় সূর্যের ঘূর্ণনবেগ অপেক্ষা সম্মিলিত গ্রহগুলির ঘূর্ণন বেগ বেশি।
আরও পড়ুন